
ভোজ্যতেলের বাজারে যখন জ্বলছে আগুন। লাগামহীন মুল্যবৃদ্ধিতে অসহায় নিম্নবৃত্ত ও মধ্যবৃত্ত মানুষ। ব্যবসায়ীদের তৈরি কৃত্রিম সংকটের যাতাকলে সাধারন মানুষ, ঠিক তখনই যেনো তাদের জন্য আশির্বাদ হয়ে এলেন যশোরের উদ্ভাবক মিজানুর রহমান।
বাজার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৩০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে দরিদ্রদের মাঝে বিক্রি করছেন তিনি। লিটারপ্রতি ১৮০ টাকা দরে সয়াবিন তেল কিনে তিনি দরিদ্রদের মাঝে বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়। অবশ্য এটাকে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এক অভিনব প্রতিবাদ বলছেন তিনি।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ-সাতক্ষীরা মোড়ে ১০০ লিটার তেল বিক্রির মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করেন উদ্ভাবক মিজানুর। যেখানে তিনি প্রতি লিটার তেলে ভর্তুকি দিচ্ছেন ৩০ টাকা।
উদ্ভাবক মিজানের এমন কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে তেলসহ যাবতীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে প্রতিবাদ জানান দরিদ্র ক্রেতারা।
অবৈধভাবে তেল মজুত করে নিত্যপণ্যের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, যারা অবৈধভাবে তেল মজুত করে নিত্যপণ্যের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। বাজারে তেলের চাহিদা মেটাতে ডিলার বা হোলসেলারদের এখনই মানবিকতার পরিচয় দেওয়ার সময় এসেছে।
সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যতদিন দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে ততদিন আমি বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে এভাবে কম দামে তেল বিক্রি করবো। এই কার্যক্রমে অংশ নিতে দেশের সব জায়গা থেকে দানশীল ও সাদা মনের মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
দেশীয় প্রযুক্তিতে নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে যশোরের মোটরসাইকেল মেকানিক মিজানুর রহমান এরই মধ্যে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছেন। ‘অ্যাম্বুলেন্স ভেহিকল উইথ লোকাল টেকনোলজি’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুদান পেয়েছেন। এসব উদ্ভাবনের জন্য তিনি উদ্ভাবক মিজান নামে পরিচিত।
বার্তাবাজার/না. সা.