
নারায়ণগঞ্জে প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যার করার পর পালিয়েছিলেন ঘাতক প্রেমিক। এ ঘটনা ঘটার পর ১০ মাস পর ওই হত্যা মামলার আসামি সাজিদ রাসেলকে (৩৫) রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাকে নারায়ণগঞ্জে পাঠায়।
গ্রেপ্তার সাজিদ রাসেল মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের এনায়েতপুর সাতভেন্টি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। একই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চিথলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে তানজিনা বেগম (১৯) এবং সাজিদ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা এলাকায় বসবাস করত। সেখানেই তাদের দুজনের মধ্যে একটা গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
হত্যাকারী স্বামী স্বীকারোক্তি দিলে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে এসে ডোবা থেকে নারীর হাঁড়গোড়ের ১৯টি অংশবিশেষ, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি ও ফ্রিজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নারীর নাম তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫), তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার আ. জলিলের মেয়ে। হত্যাকারী মো. রাসেল (২৯) একই জেলা ও থানার কুমুরগঞ্জ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায় রাসেল স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, রাসেল প্রথম স্ত্রী মেনালিসা ঢাকার সাভারে বসবাস করে। সে তানজিলাকে নিয়ে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে ফতুল্লা থানার আদর্শ নগর রঙ্গিলা রোডে নোয়াবের বাড়ির ৩য় তলায় ভাড়ায় বসবাস শুরু করে আসছিল। বিয়ের পর থেকেই তানজিলা আসামি রাসেলের মৃত বোনের স্বামী মোস্তফাসহ বিভিন্ন পর পুরুষের সঙ্গে গোপনে কথা বলে, এমন সন্দেহ করতো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। ঘটনার দিন গত ২৯ মার্চ শবে বরাতের রাত তিনটায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
বার্তাবাজার/আর এম সা