
গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন প্রায় একশো বছর যাবত বাজার করে আসছে ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান বলছেন, মূল ভবনটি পরিষদের জায়গায় করা হয়নি। বাজারের জায়গায় ভবন, নাকি ভবনের জায়গায় বাজার! চেয়ারম্যানের বক্তব্যের পর জনমনে এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের সেবাপ্রার্থীরা। প্রতি সপ্তাহের রোববার ও বৃহস্পতিবারে এরকম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবাপ্রার্থীদের।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী চান মিয়া মোড়ল বলেন, আমি এখানে ৩০ বছর যাবত অস্থায়ী দোকান করে আসছি। বাজারের দিনে ইউনিয়ন পরিষদে যারা আসেন তাদের চলাচলে অনেক সমস্যা হয়। কিন্তু আমাদের বিকল্প জায়গা না থাকায় পরিষদ সংলগ্ন দোকান করছি। বিকল্প জায়গা দিলে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলে যাবো। আরেক ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, অন্যত্র জায়গার ব্যবস্থা না থাকায় আমি ৩ বছর যাবত পরিষদের বারান্দায় ব্যবসা করছি। পাশ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলায় নদী সংলগ্ন সুন্দর পরিবেশে বাজার করে দেওয়া হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। আমরাও পরিষদ থেকে বাজার সরিয়ে নিতে চাই, তবে আমাদেরকে সুন্দর পরিবেশে সরকারি উদ্যোগে বাজার করে দেওয়া হোক।
বাজারের ইজারাদার মুসা মোড়ল বলেন, ‘মূলত জায়গা নেই বলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে’।
এ বিষয়ে বাজারটির নির্বাচিত সভাপতি বোরহান উদ্দিন মোড়ল বলেন, ‘আমরা বাজার কমিটির দায়িত্বশীলরা শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিবো। তবে পরিষদের পেছনে ভরাট করে বাজার স্থানান্তর করা হবে’। কতদিনের মধ্যে করা হবে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।
এ বিষয়ে গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান শাহীন বলেন, ‘এখানে প্রায় ১০০ বছর যাবত বাজার করে আসছে স্থানীয়রা। পরিষদের পেছনে নদী সংলগ্ন প্রচুর জমি রয়েছে। এখান থেকে বাজার সরিয়ে ওই জমিতে নেওয়ার যথাযথ চেষ্টা চালাচ্ছি’। এছাড়াও কিছু প্রভাবশালীরা অনেক সরকারি জমি দখল করে রেখেছে, সেগুলো উদ্ধার করা গেলে বাজারটি সরাতে সুবিধা হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের জায়গার পরিমাণ কতটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবনটি মূলত পরিষদের জমিতে করা হয়নি। পরিষদের জমি মূল ভবনের দক্ষিণে’।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বাজার সরানো প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তিনি পরিদর্শন করে সমস্যাটির সমাধান করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
মো. মোজাহিদ/বার্তাবাজার/মনির