
রংপুরের মিঠাপুকুরে জোরপূর্বক দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পাশের গ্রামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঐ ছাত্রীর। প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যান ঐ স্কুল ছাত্রী। দেখা হওয়ার পর কথোপকথনের একপর্যায়ে প্রেমিক যুবক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
সোমবার(১৪ মার্চ) রাতে উপজেলার খিয়ারপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা দায়ের করার পর আজ বুধবার(১৬ মার্চ) ধর্ষনের শিকার ঐ ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক ফাহিম ইসলাম (২৫) উপজেলার মাদারপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক ফাহিম পলাতক রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ১৪ মার্চ রাতে ঘটনাটি ঘটার পর থেকে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। হটাৎ করে মেয়েটির চলাফেরা অস্বাভাবিক মনে হলে তার সমস্যার কথা জানতে চায় পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের সবকিছু খুলে বলেন ঐ স্কুল ছাত্রী। এরপর মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ঐ যুবকের সাথে যোগাযোগ করা করলে, পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন যুবক। মেয়েটিকে বিবাহ করতে ৮ লাখ টাকার দাবি করেন ঐ যুবক। ধর্ষকের এমন দাবিতে দিশেহারা হয়ে পড়েন মেয়ের পরিবার। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী। মেয়েটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীকে ধারার জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পলাশ/বার্তাবাজার/কা.হা