
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৩৩ নং ওয়াহেদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের মনগড়া নিয়মেই বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয় বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের মনগড়া বক্তব্যে মনে হয় এখানে সরকারি কোন নিয়ম চলে না, চলে প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব নিয়ম।
২০১৭ সাল থেকেই বিদ্যালয়টি চলে এডহক কমিটি দিয়ে। নিয়মিত কমিটি না হওয়ার কারন হিসাবে মঠবাড়িয়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, জমি নিয়ে মামলা চলমান আছে। তবে বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল ইসলাম খোকন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে আদৌ কোন মামলা নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুনা লায়লা নিয়মিত কমিটি না হওয়ায় পেছনে মামলার কথা বলেননি। তিনি বলেন, জমিদাতা না থাকায় এডহক কমিটি দিয়েই বিদ্যালয় চলছে।
এদিকে পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেছের আলী বলেন,জমিদাতা না থাকলেও নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা যাবে। শুধুমাত্র জমিদাতা পদটি খালি থাকবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি বরাদ্দসমূহ বাস্তবায়ন না করে আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। কেউ অভিযোগ দিতে পারে না। অভিযোগ করলে হুমকি দেওয়া হয় চাঁদাবাজি মামলার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিদ্যালয়টিতে স্লিপের ৭০ হাজার টাকা আসে।কিন্তু এ টাকার সিকিভাগও ব্যয় করেনি ওই প্রধান শিক্ষক। ২০১৯ – ২০ অর্থ বছরে স্লিপের ৭০ হাজার টাকার পাশাপাশি রুটিন মেইনটেন্যান্সের আসে ৪০ হাজার টাকা। এ টাকারও কোন দৃশ্যমান কাজ নেই।
২০২০-২১ অর্থ বছরে মাইনর মেরামতের ২ লাখ, প্লেইং এক্সেসরিসের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার এবং স্লিপের ৭০ হাজার টাকা আসে।২ লাখ টাকা ব্যয় না করলেও একটি লোহার দোলনা ও একটি ব্যালেন্স বানিয়েই খরচ দেখানো হয় বাকি টাকার।
২০২১-২২ অর্থ বছরেও স্লিপের ৭০ হাজার ও রটিনের ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ আছে। বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু টাকা ব্যয় না করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আইওয়াশ করে প্রধান শিক্ষক রুনা লায়লা। প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারীতা ও খামখেয়ালিপনায় এ গ্রেডের এ বিদ্যালয়টি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অচ্যুতানন্দ দাস জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহজাহান/বার্তাবাজার/এম আই