
প্রেমের টানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু (সনাতন) ধর্ম গ্রহন করেছেন বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের হাফিজা আক্তার নামের এক নারী।
ধর্মান্তরিত হওয়া হাফিজা আক্তার বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিনবুনিয়া গ্রামের মোঃ হাচান আলী শেখের মেয়ে। আর প্রেমিক ও স্বামী দুল কুমার মিত্র ওরফে বিপুল মিত্র মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের সুখরঞ্জন মিত্রের পুত্র।
জানা যায়, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বেসরকারি একটি সংস্হায় চাকরি করার সুবাদে হাফিজা আক্তারের পরিচয় হয় মৃদুল মিত্র নামে এক হিন্দু যুবকের সাথে। পরিচয় থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মাঝে। এরপর এফিডেভিটের মাধ্যমে ধর্মান্তর ও বিয়ে হয় তাদের। হাফিজা আক্তার ধর্মান্তরিত হয়ে নিজের নাম রাখেন মৈত্রী মিত্র।
এরপর পিরোজপুর বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহোত্তর ঘোষনা সম্পাদন করেন তারা।
গত মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে মৈত্রী মিত্রকে (হাফিজা আক্তার) মৃদুলের বাড়িতে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ মৈত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নিজেকে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করা মৈত্রী মিত্র বর্তমানে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার এসআই পলাশ চন্দ্র জানান, ৯৯৯ এর কল পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্হা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।
ধর্মান্তরিত হওয়া ওই নারী এভিডেভিডে উল্লেখ করেন, আমি আমার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১২/০৩/২০১৪ ইং তারিখ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে কৃষ্ণ মতে ব্রাহ্মণ দ্বারা মন্ত্রপুত হইয়া আমার স্বেচ্ছায় অন্যের প্ররোচনা বা ভয়ভীতি ব্যতিরিকে ইসলাম (সুন্নী) ধর্ম ত্যাগ করিয়া পবিত্র হিন্দু (সনাতন) ধর্ম গ্রহন করিয়া ধর্মান্তরিত হইলাম। হিন্দু ধর্মীয় গীতা পাঠ করিয়া আমার পূর্বের নাম হাফিজা আক্তার বাতিল করিয়া আমার নতুন নাম মৈত্রী মিত্র রাখিলাম।
এবছরের ৫ই জানুয়ারি পুরোহিত শ্রীমান ভাষ্কর মুখার্জির দ্বারা মন্ত্রপুত হইয়া সপ্তপদী দক্ষিণে হোমাগ্লির সম্মুখে শঙ্খ সিদুর ধারনে ও গ্রহনে হিন্দু শাস্ত্রীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করিয়া পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
মৈত্রী মিত্রকে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা নূরুল ইসলাম বাদলকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নি।
শাহজাহান/বার্তাবাজার/না. সা.