
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মো. আফজাল মোল্যা (৬০) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধের ঘরে আগুন ধরিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আঃ শুকুর মোল্যা নামে এক যুবক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আঃ শুকুর মোল্যা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের আছাদ মোল্যার ছেলে।
রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাকুড়িয়া গ্রামের প্রবাসী ফরিদ খান ও ইউপি সদস্য মিটু মোল্যার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন লোক আহত ও কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে একইদিন গভীর রাতে ওই এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী আফজাল মোল্যার বাড়িতে কে বা কাহারা আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তাদের শোর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলে ওই বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী প্রাণে বেঁচে যায়।
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্রের দাবি করে ওই যুবক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
তবে বৃদ্ধ প্রতিবন্ধি আফজাল মোল্যার দাবি তার কোন শত্রু নাই। হঠাৎ করে গভীররাতে ঘরে আগুন দেখতে পায়। তবে কে বা কাহারা তার ঘরে আগুন দিয়েছে তা তিনি জানেন না।
আগুন নেভাতে আসা প্রতিবেশী সবুর শেখ (৪৫) জানান, গভীর রাতে প্রতিবন্ধি আফজালের ঘরে আগুন লাগলে তার শোর চিৎকারে আমি ও আমার বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করি।’
এবিষয়ে প্রবাসী ফরিদ খান বলেন, ‘মিটু মেম্বারের লোকজন বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী আফজালকে পুড়িয়ে মেরে আমাদের ফাঁসাতে চেষ্টা করছে।’
তবে ইউপি সদস্য মিটু মোল্যা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আফজাল আমাদের চাচা হয়। আমাদের লোকজন কেন এ কাজ করবে। বরং ফরিদ খানের লোকজন আফজালকে পুড়িয়ে মেরে আমাদের ফাসাঁতে চেষ্টা করছে।’
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ‘গ্রাম্য বিরোধের জেরে ওই এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে কোনরূপ কেউ মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে ছাড় পাবে না।’
রাকিবুল/বার্তাবাজার/এ.আর