
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০৯ সালে বিদ্রোহের নামে রাজধানীর পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। যাদের মধ্যে আগৈলঝাড়ার দুই কৃতী সন্তান বিডিআর সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত কর্ণেল এবিএম জাহিদ হোসেন চপল ও মেজর কাজী আশরাফ এর ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার চাঁদত্রিশিরা ও বেলুহার গ্রামের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী কোরআন খতম, কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্ণেল জাহিদ ও আশরাফের আত্মীয়স্বজনদের সাথে আগৈলঝাড়ার জনসাধারণ তথা দেশবাসী তাদের স্মরণ করছে। চপলের স্ত্রী ছন্দা, ছেলে নিলয় ও নির্ঝর ঢাকার বাসায় দিবসটি পালন করেন।
তার ভাই আব্দুর রব বখতিয়ার সাংবাদিকদের জানান, নিজস্ব অর্থায়নে কর্ণেল জাহিদ হোসেন নুরানী হাফেজী মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণ করা হয়েছে। এতিমখানাটিতে বর্তমানে ১৩জন এতিম শিশু রয়েছে। কর্ণেল জাহিদের মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ অনুষ্ঠানে জাহিদের পরিবার ও এলাকাবাসী পয়সারহাট নদীর উপর নির্মিত সেতুটির নাম ‘কর্ণেল জাহিদ সেতু’ করার দাবি জানিয়েছেন। ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অন্যদিকে পিলখানা ট্রাজেডির ৬ দিন পর উদ্ধার হওয়া আগৈলঝাড়ার আর এক কৃতী সন্তান মেজর কাজী আশরাফ এর পারিবারিক সূত্রে জানা
গেছে, বর্তমানে আশরাফের পরিবার চট্টগ্রামে অবস্থান করায় গ্রামের বাড়ি বেলুহার গ্রামে তার চাচারা দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেছিলেন।
আরিফিন/বার্তাবাজার/এম আই