
সয়াবিন তেল ও সবজির সাথে এবার সব ধরণের মাংসের দাম বেড়েছে কুড়িগ্রামের বাজারে। মাংসের দোকানগুলোতে মাংসের দাম নির্ধারিত না থাকায় এবং অধিকাংশ দোকানে মূল্য তালিকা না থাকার কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে হাঁস, মুরগি, গরু ও খাসির মাংস। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে সব ধরণের মুরগি ও হাঁসের ।
সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে আকাশচুম্বী হয়েছে এসব পণ্যের বাজার মূল্য। জেলা শহরের বাজারগুলোতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সোমবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) জেলার প্রধান দুই জিয়া বাজার ও পৌর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরু ও খাসির সাথে হাঁস-মুরগির দামও বেড়েছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। সোনালি (পাকিস্তানি) ২৬০ টাকা, লেয়ার ২৫০ টাকা এবং ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। হাঁস গঠন অনুযায়ী জোড়া ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
জিয়া বাজারে মাংস কিনতে আসা ক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন,’দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের নাভিস্বাস উঠেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে রমজানে এই বাজার আরও লাগামহীন হয়ে উঠতে পারে। কর্তৃপক্ষের উচিত এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।’ পৌর বাজারের খাসির মাংস ব্যবসায়ী সুমন বলেন,’বাজারে ছাগলের মূল্য অপ্রত্যাশিত ভাবে বেড়েছে। জেলার বাইরের ব্যবসায়ীরা হাটগুলো থেকে ছাগল নিয়ে যাওয়ায় জেলার মাংসের বাজারে ছাগল খাসির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মাংসের দামও বেড়েছে।’ তিনি আরো বলেন,’আমার ব্যবসার সময়কালে বাজারে ছাগলের এতো দাম আমি পাইনি। জেলার বাইরে ছাগলের চাহিদা বাড়ায় ছাগল সংকটে জেলার ভেতরেও মাংসের দাম বেড়েছে।’
জেলা সদরের ভোকেশনাল মোড়ের গরুর মাংস ব্যবসায়ী আলম বলেন,’গরুর দাম প্রচুর। দেশীয় গরু দিয়ে মাংসের চাহিদা পূরণ হয় না। বর্ডার কড়াকড়ি হওয়ায় ভারত থেকেও তেমন গরু আসছে না। সংকটের ফলে গরুর বাজার মূল্য চড়া যাচ্ছে। ফলে মাংসের দামও বেড়েছে।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছি। দুই একদিনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসে বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হবে। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা একটা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবো।’
সুজন/বার্তাবাজার/এম আই