বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত ঘিরে কক্সবাজারে হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। দেশে এই প্রথম ৩টি খেলার মাঠ ও ১টি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট প্র্যাকটিস মাঠ নিয়ে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সে থাকবে ফুটবল, ক্রিকেট ও হকির মাঠ এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট প্র্যাকটিস মাঠ। প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড কমপ্লেক্সটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান।
এ ব্যাপারে আজ রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টায় কক্সবাজারের তারকা মানের একটি হোটেলে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অথিতি ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রকল্পে ডিপিপি প্রণয়নে অংশীজন সভায় উপস্থিত অনেকেই মতামত দিয়েছেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের মতো এতো সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় এ ধরণের স্থাপনা আমরা করতে যাচ্ছি। এটি পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং আগ্রহের কারণে সম্ভব হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে আধুনিকভাবে ফুটবল স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম হচ্ছে। এ জেলার প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনাও আমরা হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় রামুতে বিকেএসপিও করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সমুদ্রতীরে প্র্যাকটিস মাঠসহ ক্রিটেক, ফুটবল ও হকি স্টেডিয়ামের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্সের দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পরিচিতি লাভ করবে। আশা রাখছি বিদেশের খেলাও এই ভেন্যুতে চলবে। পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সেভাবে সবকিছু বিবেচনা করে এই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স হবে।’
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের তীর ঘেষে দৃষ্টিনন্দন ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনাটা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং আনন্দের। ক্রীড়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এমন যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং ৩টি খেলার মাঠসহ দেশের একমাত্র ক্রীড়া কমপ্লেক্স কক্সবাজারে হচ্ছে। এটি কক্সবাজারের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’
এ বিষয়ে স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর কাদের হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘পশ্চিম দিকে ঝাউবন বেষ্টিত সমুদ্রের দিগন্ত জুড়ে এটি তৈরি হচ্ছে। ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে প্রাকৃতিক স্থাপনার সাথে খাপ খাইয়ে স্টেডিয়ামের ধারণাটি ‘সাম্পান’ নৌকার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এটি দেখলে মনে হবে- নান্দনিকভাবে সাগরে ৩টি সাম্পান ভাসছে। প্রস্তাবিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অবস্থান কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ হাজার ৫০০ ফুট দূরে লাবণী বিচ সড়কে অবস্থিত। এই কমপ্লেক্সে ক্রিকেটে ১৫ হাজার, ফুটবলে ১৫ হাজার এবং হকিতে ৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম হবে।’
জানা যায়, এই ক্রীড়া কমপ্লেক্সে থাকবে- গ্যালারি, ভিআইপি সুবিধা, রেস্তোরাঁ, মিডিয়া, স্টেডিয়াম প্রশাসন, সেবাকক্ষ, স্টোরেজ, টয়লেট। এছাড়া জিমনেশিয়াম ও ইনডোর অনুশীলনে- প্রধান ইনডোর নেটব্লক, সেবাকক্ষ, টিভি রুম, টয়লেট। একাডেমিতে- ডাইনিং, হলরুম, প্রশাসনিক ভবন, কনফারেন্স ভবন, অডিও-ভিজ্যুয়াল কক্ষ ও দৃষ্টিনন্দন পার্কিংয়ের জায়গাসহ আরও অনেক সুবিধা।
The post দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স হচ্ছে কক্সবাজারে appeared first on bd24report.com.