শৈলকুপা প্রতিনিধি:
কবে ফিরবে দশ বছর ধরে নিখোজ যুবক রাইসুল ইসলাম(১৯)। মা মারা গেলেও বাবা এখনো চেয়ে থাকে পথের দিকে। রাত যায় দিন আসে কিন্তু আমার ছেলে আর ফিরে আসেনা এমনটি আকুতি বাবার। দুই ভাইয়ের মধ্যে রাইসুল সবার বড়। অভাব অনটনের সংসারে মোটর সাইকেল চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছিল। নিখোজের এক মাস আগে বিয়েও করেছিল। ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপার ৫নং কাঁচেরকোল ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামে। এ নিয়ে সে সময় শৈলকুপা থানায় একটি জিডি দায়ের হলেও আলোর মুখ দেখেনি তদন্তের। নিখোঁজ যুবক বালিয়াঘাট গ্রামের রুহুল শেখের ছেলে।
নিখোঁজ যুবকের চাচা পিকুল শেখ জানান, তার ভাতিজা রাইসুল শেখপড়া বাজারসহ আশপাশ এলাকায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে উপার্জন করত। গত ২০১২ সালের ২৬ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় রাইসুল। এরপর আর সে ফিরে আসেনি। অনেক খোজাখুজির পর তাকে পাওয়া না গেলে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই শৈলকুপা থানায় একটি জিডি করেন রাইসুলের পিতা রুহুল শেখ। এরপর আর কোন খোঁজ মেলেনি রাইসুলের। পুলিশও এ নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখেনি বলে অভিযোগ করেন।পাশের জেলাসহ যেখানেই মৃত ব্যক্তি পাওয়া যেতে সেখানেই তিনি ছুটে যেতেন ভাতিজার খোঁজের জন্য। কিন্ত কোথাও সন্ধান পাইনি তার। তবে তাদের ধারণা পাশের গ্রামের লোকজন এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। ইতিমধ্যে অপরাধীরা অনেক জায়গায় মুখ ফসকে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকারও করেছে। সঠিকভাবে তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে অনেক অজানা তথ্য বলে তিনি মনে করেন।
রাইসুলের পিতা রুহুল শেখ জানান, তার ছেলে রাইসুল ভাড়াই চালিত মোটরসাইকেলের চালক। গত ১০ বছর আগে ভাড়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এ নিয়ে তিনি শৈলকুপা থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। গ্রাম্য সামাজিক বিরোধে পাশর্^বর্তী গ্রামের কয়েক ব্যক্তির নামে তিনি আদালতে গুমের একটি অভিযোগও দেন। কিন্ত তদন্তে তা প্রমানিত না হওয়ায় তা প্রত্যাহার করেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন তার ছেলে হত্যার সাথে পার্শবর্তী গ্রামের লোকজন জড়িত।
১০ বছর আগে যুবক নিখোঁজের ঘটনায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম বলেন তিনি থানায় নতুন যোগদান করেছেন। ঘটনা অনেক আগের। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।