
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভুল অপারেশনে মধু খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধূ ওই উপজেলার মামুদপুর গ্রামের আরমান হোসেনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাতে উল্লাপাড়ার শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড নামক এলাকার তা-মীম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় ঘটনার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহত রোগীকে জোর করে অ্যাম্বুলেন্সে ঢুকিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বলে। এবং তারাহুরো করে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, ম্যানেজারসহ সব কর্মচারীরা চলে যায়।
পরে গৃহবধুর লাশটি ওই রাতেই নিয়ে পরের দিন সকালে দাফন সম্পন্ন করে আত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই হাসপাতালে কর্মরত মাসুদ রানা গৃহবধুর প্রতিবেশী হওয়ায় তার পরার্মশেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের জন্য ওই ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এদিকে মৃত্যুর ঘটনাটি গণমাধ্যমকর্মীরা জানার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর অভিভাবককে সমঝোতা করার চাপ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এদিকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুল ইসলাম (সাজ্জাদ) এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে ওই দায়িত্বের পাশাপাশি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলেন, হাসপাতালে রোগী মারা যেতেই পারে, এটা অন্যায় না। অপারেশন চলাকালীন সময়ে রোগীর হার্টের সমস্যা থাকায় হার্টবিট বেড়ে তার এ মৃত্যু হতে পারে। এটার জন্য আমরা দায়ি না। পরে চিকিৎসকের নাম ও নাম্বার চাইলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
নিহতের ভাতিজা আতিক বলেন চাচী নিজেই ওই হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়েছিলো। এমন সুস্থ্য মানুষ সঠিক অপারেশনে মারা যাওয়ার কথা না। উল্লাপাড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ হুমায়ন কবির বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. খুরশীদ আলম বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। তবে এ ধরনের যদি ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে গণ্যমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।
এম এ মালেক/বার্তাবাজাার/এম.এম