চলচ্চিত্র অঙ্গনে বইছে নির্বাচনের হাওয়া। আসছে ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বড় পর্দার অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে লড়বেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। তিনি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী। বুধবার (১২ জানুয়ারি) প্যানেলের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তর দিয়েছেন।
প্রশ্ন: ‘নায়ক রিয়াজ ও সংগঠক রিয়াজ’ এই দুই জনকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
রিয়াজ: দেখুন, আমি কখনো নিজেকে নায়ক মনে করি না। আমি একজন অভিনেতা। আমি আসলে মানুষকে ভালোবাসি। প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। যারা অন্য প্যানেলে নির্বাচন করছেন, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। তবে সংগঠক হতে পেরেছি কি না, সেটা বলতে পারছি না। আমি কাজ করি ভালোর জন্য। যখন আমি কাজে নামি, তখন নিজের লক্ষ্য নিয়েই নামি। এর মধ্যে অনেক বাধা-বিপত্তি আসে। সেগুলোকে পাত্তা দেই না।
প্রশ্ন: আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কেনো ভোটাররা আপনাকে ভোট দেবে?
রিয়াজ: নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে ভালো মানুষ হওয়া দরকার। পর্দার অভিনয় কেউ বাস্তবে চায় না। পাঁচ টাকা দান করে পঞ্চাশ টাকার পাবলিসিটি করলাম; এমন মানসিকতা আমাদের প্যানেলে কারও নেই। এতে শিল্পীদের সম্মান নষ্ট হয়। আমরা অঙ্গীকার করেছি, ব্যক্তিগত কাজ করে আমরা কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটাকরে প্রচার করবো না। সাধারণ মানুষের সামনে শিল্পীদের দুঃস্থ বলতে চাই না। শিল্পীদের নিজস্ব একটা সন্মান, আত্মমর্যাদা ও আত্ম অহংকার আছে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন: অনেকেই বলে, কাজের পর ফেসবুকে প্রচার করা হয়। এতে অনেকের উপকার হয়। আর যারা কাজই করে না, তারা অনেক কথা বলে। এই বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন।
রিয়াজ: আসলে কাজ করে কি না; সেটা তো কাজের সুযোগ দেওয়ার পরে বোঝা যাবে। আমাদের এই প্যানেলটা একটা সুযোগ চায়। এছাড়া বিগত দিনে যারা কাজ করেছেন, তারা অনেক ভালো কাজ করেছেন। কিন্তু সিনেমার কি কোনো উন্নতি হয়েছে? যে এফডিসি আমরা রেখে গিয়েছিলাম, আজ সে এফডিসি দেখে কষ্ট হচ্ছে। যদি কাজই করতো, তাহলে শিল্পীরা এভাবে হতাশ হয়ে ঘুরে বেড়াতো না। আমি বলছি না যে, তারা একেবারেই কাজ করেনি। আমি বলছি, আমরা কাজের যে জায়গা নিয়ে ফিল্মকে চিন্তা করি, সেই সুযোগটা আসলে আমাদের দিতে হবে। আশা করি, শিল্পীরা সেই সুযোগটা আমাদের দেবেন।