গত ২ জানুয়ারি তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়াতুল্লাহ খোয়ারজমি নিন্দা করে বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে পাকিস্তানের বেড়া দেওয়া অবৈধ। ডুরান্ড লাইনের উভয় পাশে বসবাসকারী পশতুন উপজাতিদের আলাদা করার কোনো অধিকার পাকিস্তানের নেই।
দ্য ডিপ্লোম্যাটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্মিত সীমান্ত বেড়ার কিছু অংশ তালেবান যোদ্ধারা ক্ষতিগ্রস্ত করার দুই সপ্তাহ পর এই বিবৃতি আসলো। যদিও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেইশি ইস্যুগুলো কূটনৈতিকভাবে সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তালেবানের তথ্যমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জোর দিয়ে বলেছেন যে, ডুরান্ড লাইন একটি জাতিকে উভয় দিকে বিভক্ত করেছে। আর তা তালেবানরা চায় না।
গত আগস্টে ইসলামাবাদের সমর্থনে কাবুল পুনরুদ্ধার করা সত্ত্বেও, তালেবানরা ধীরে ধীরে এখন সেই সরকারি অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করছে, যা পাকিস্তানের শুরু থেকে সব আফগান সরকার বজায় রেখেছে। তালেবানদের দাবি, ডুরান্ড লাইন হলো সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আরোপিত একটি কৃত্রিম সীমানা।
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত শামশাদ আহমেদ দ্য ডিপ্লোম্যাটকে বলেন, ‘আমরা যদি আফগানিস্তানের দাবির প্রতি মনোযোগ দেই, তাহলে ভারতও পুরো পাকিস্তানকে তাদের ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে দাবি করতে পারে। আফগানিস্তানের সীমান্ত সমস্যা ঐতিহাসিক এবং অতীতের সাম্রাজ্যের সাথে রয়েছে। তাদের ভূখণ্ডের ওপর পাকিস্তানের আইনি অধিকার রয়েছে। এমনকি চীনের সঙ্গে তাদের প্রতিবেশীদের সীমান্ত সমস্যা রয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রেও এটি সত্য। তার মানে এর অর্থ এই নয় যে, তারা নিজেদের ভেঙে ফেলবে।’