
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুনের মামলায় একমাত্র আসামি রিপন নাথের বিরুদ্ধে স্বাক্ষগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে আসামি রিপন নাথের উপস্থিতিতে মামলার বাদী তৎকালীন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি একই আদালতে আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হয়। আসামি রিপন নাথ সীতাকুণ্ড উপজেলার ফেদানগর হেমন্ত সরকার বাড়ির নারায়ন নাথের ছেলে।
তিনি পাহাড়তলী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন। খুনের শিকার অমিত মুহুরী কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন গোলাপ সিং লেনের অরুণ মুহুরীর ছেলে।
২০১৭ সালের আগস্টে চট্টগ্রাম নগরের এনায়েতবাজার এলাকার রানীর দীঘি এলাকায় বন্ধু ইমরানকে খুন করে মরদেহ ড্রামে ভরে দীঘিতে ফেলে দিয়েছিল অমিত। ঘটনার পর কুমিল্লায় গিয়ে আত্মগোপনে ছিল অমিত। সেখান থেকে অমিতকে গ্রেফতার করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ মে রাতে কারাগারের ভেতর ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষে রিপন নাথের ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয় অমিত মুহুরী। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায়। এ ঘটনায় রিপন নাথকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ। ২০১৯ সালের ১১ জুনের ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল রিপন নাথ। রিপন নাথ জবানবন্দিতে দাবি করেছিল, ঘুমানোর আগে অমিত মুহুরী তাকে সিগারেট খেতে বারণ করে এবং পায়ের কাছে ঘুমাতে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অমিত মুহুরী তার কাছে জিন আছে বলে ভয় দেখায় রিপন নাথকে। জিনের ভয়ে আগে থেকে অমিত মুহুরীকে খুন করেছে বলে দাবি করেছিল রিপন নাথ। ২০২০ সালের ২৫ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আজিজ আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, অমিত মুহুরী হত্যা মামলায় বাদী তৎকালীন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদের সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে । আসামি রিপন নাথের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলনা। আসামি রিপন নাথ নিজে মামলার বাদী নাশির আহমেদকে জেরা করেছেন। আগামী ১২ মে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
হুমায়ুন/বার্তাবাজার/এম আই