স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বারুইহুদা গ্রামে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত ও ৩০ টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। হাসেম আলী, নাস্তম শেখ, রুস্তম শেখ, মিজানুর রহমান, হাবিব, মুক্তার শেখ, নবাব শেখ, মুসা শেখ, বাদশা শেখ, আজিজুল শেখ, আমজাদ শেখ, লিটন, জসিম শেখ, হাসমত শেখ, ছলেমান ও নেছার উদ্দীনের বাড়িসহ ৫০ বাড়িভাংচুর ও লুটপাটেরঘটনা ঘটে। হামলায় আলিম বিশ^াস, বিপুল, রাজ্জাক বিশ^াস, সজীব, আজিম, হামিদুল, ছবেদা খাতুন, রয়েল মোল্যা, নাসির বিশ^াস, দবির উদ্দিন, ফকির আলী, সরিফুল ইসলাম, রিজিয়া খাতুন, খলিল বিশ^াস, লাল্টু, আমেনা বেগমসহ ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বারুইহুদা গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এবং যুবলীগ নেতা শফিকুলের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শফিকুল সমর্থিত নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বারুইহুদা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে ঢুকে ৩০টি ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ ভাংচুর করে। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে বাক্সে থাকা কাপড়, নগদ টাকা, স্বর্নলঙ্কার এমনকি গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। অপরদিকে শফিকুল বলেন, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের গ্রুপের আব্দুল বারিকের লোকজন বারুইহুদা স্কুলে বসে থাকা আমার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে গ্রামবাসি জোট বদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করে। জেলা যুবলীগ নেতা শফিকুল বলেন এই ঘটনার জন্য নজরুল চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা দায়ী। শৈলকুপা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকারী দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ওই এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।