কমলাপুর স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের উদ্বোধন। বতর্মান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস-নতুন দল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ মাঠে নামবে। কিন্তু বসুন্ধরা মাঠে আসেনি। তার পরও মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের দেশিবিদেশি খেলোয়াড়রা। রেফারিও প্রস্তুত। লাইনে দাঁড়িয়ে রেফারির পেছনে মাঠে নামলেন স্বাধীনতা সংঘের খেলোয়াড়রা।
রেফারি যখন মাঠে নেমে বসুন্ধরার অপেক্ষায়, বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা তখন নিজেদের মাঠে অনুশীলনে। সাড়ে ৩টায় নেমে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুশীলন করে। দলের বায়েজিদ জোবায়ের নিপু জানিয়েছেন, তারা লিগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে রেফারি মাঠ ছাড়েন আর স্বাধীনতা সংঘের খেলোয়াড়রা ড্রেসিং রুমে ঢুকে পোশাক পরিবর্তন করেন।
সন্ধ্যায় একই গ্রুপে আবাহনী ও উত্তর বারিধারা ক্লাবের ম্যাচও মাঠে গড়ায়নি। আবাহনী মাঠে আসলেও বারিধারা আসেনি। একই চিত্র হয়েছে।
বসুন্ধরার দাবি ছিল তারা কমলাপুর মাঠে খেলবে না। আর ফেডারেশন কাপের ফরমেট পছন্দ হয়নি। পরিবর্তন করতে হবে। ফরম্যাট পরিবর্তন করা হলেও বসুন্ধরা জানিয়েছে তারা খেলবে না।
বাফুফে জানায়, বারিধারা চিঠি দিয়েছে তারা খেলবে না। মুক্তিযোদ্ধা আগেই জানিয়েছে তারা খেলবে না। কমলাপুর মাঠে খেলোয়াড়রা আহত হচ্ছে। ফেডকাপে না খেলার পথে আরো একাধিক ক্লাবের নাম শোনা যাচ্ছে।
দেশের ফুটবলে এমন নজির নেই একাধিক ক্লাব ফেডকাপের উদ্বোধনী দিনেই না খেলার পথে গেল। নানা ঢংয়ে বসুন্ধরা কিংসের পথ অনুসরণ করল অনেকেই। দেশের সামগ্রিক ফুটবলের জন্য এটা কলঙ্ক। ক্লাবগুলোকে লিগের আগে প্রস্তুত করার জন্যই ফেডারেশন কাপ শুরু হয়েছিল ১৯৮০ সালে। লিগ আয়োজন করত লিগ কমিটি আর ফেডারেশন কাপ আয়োজন করত বাফুফে। এখন সব কিছু একই ছাতার নিচে চলে এসেছে। তবে এত বছরের পুরোনো এটা টুর্নামেন্ট কলঙ্কিত হয়নি কখনো।
এক জন মানুষ দীর্ঘদিন সাংগঠনিক কাজ করতে করতে তিনি সংগঠক হিসেবে পরিচিত হন। আর এখন অর্থ ব্যয় করেই সংগঠকের পরিচয় কেনা যায়। দীর্ঘদিন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন পড়ে না। অতি অল্পতে পেয়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা অনেকে বুঝতেও পারে না। ফলে অনুধাবন করতে পারে না কি করলে সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।